এ ঘটনায় ফারদিন হাসান দিপ্তর মা আফিয়া বেগম বাদি হয়ে পলাশ থানায় অভিযুক্ত কাউন্সিলর জাহিদ হাসান ও অজ্ঞাত আরো ৩ থেকে ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত জাহিদ হাসান উপজেলার দড়িহাওলা পাড়া গ্রামের মৃত শামছুল হকের ছেলে ও ঘোড়াশাল পৌর সভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
অন্যদিকে ফারদিন হাসান দিপ্ত একই গ্রামের প্রবাসী নূর মোহাম্মদের ছেলে। সে দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকার পলাশ উপজেলা প্রতিনিধি ও উপজেলা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য।
ফারদির হাসান দিপ্ত জানান, দুপুর ১টার দিকে উপজেলার পরিষদের পুকুর পাড়ে সামনে রাস্তায় তার এক পরিচিত ব্যক্তির সাথে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এসময় পাশের একটি নিমার্ণাধীন ভবন থেকে জাহিদ কমিশনার দুইজন লোক পাঠিয়ে তাকে ডেকে আনতে বলে। এসময় দিপ্ত তাদের একটু পরে দেখা করবে বললে কমিশনার ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে জোড়পূর্বক নিমার্ণাধীন ভবনে ভিতর তুলে আনে।
পরে সেখানে কোন কথা বুঝে উঠার আগেই কমিশনার তাকে চড় থাপ্পর ও কিলগুষি মারতে থাকে। একপর্যায়ে ভবনের ভিতর নিমার্ণ কাজে ব্যবহত বেলচা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে বেয়াদবি করার কথা বলে পায়ে ধরিয়ে মাপ চাইয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এসময় আহত ফারদিন হাসন দিপ্ত অচেতন হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাহিদ হাসান বলেন, তাকে ডেকে আনার পর সে আমার সাথে বেয়াদবি করায় তাকে শাসন করা হয়।
এদিকে এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন পলাশ উপজেলা প্রেসক্লাব, উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংবাদিকরা। অভিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিও জানান তারা।
পলাশ থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদি হয়ে কাউন্সিলর জাহিদ হাসান ও অজ্ঞাত আরো ৩ থেকে ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।